কোমরে ব্যথা সবচেয়ে সাধারণ রোগগুলির মধ্যে একটি যেটি এখন বর্তমানে যেকোনো বয়সের মানুষদের মধ্যে দেখা যায় এবং এটি প্রায় সবসময় জ্বালা জ্বালা ভাবকে সাথে নিয়ে আসে। এটি যেকোনো আঘাত, ভুল ভঙ্গি, খুব নরম গদি, বা অনুপযুক্ত শারীরিক ভঙ্গিমায় ঘুমের ফলে ঘটতে পারে। এই প্রদাহ বিভিন্ন ভাবেই প্রতিকার করা যেতে পারে যেমন লাইফস্টাইল এবং ডায়েট পরিবর্তন, সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, বা উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য খাওয়া, প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার কমিয়ে খাদ্যে প্রদাহ-বিরোধী খাবার আহারে যোগ করে মেরুদণ্ড এবং জয়েন্টগুলিতে প্রদাহ রোধ করা যেতে পারে।
সঠিক সময়ের খাবার এড়িয়ে যাওয়া, খুব বেশি বা খুব কম খাওয়া এবং অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, চিনি ইত্যাদির মতো ক্ষতিকারক খাবার বেশি খাওয়ার ফলে কোমরে ব্যথার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
•কিছু খাবারের উদাহরণ যা প্রদাহ বাড়াতে পারে, যা প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার হিসাবেও পরিচিত:
১.ট্রান্স ফ্যাট - হাইড্রোজেনেটেড তেলে তৈরি পণ্য যা প্রধানত ক্র্যাকারের মধ্যে দেখা যায়।
২.ওমেগা 6 - ভুট্টার তেল, সাদা তেল, সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল।
৩.স্যাচুরেটেড ফ্যাট - রেড মিট এবং চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার।
৪.চিনি - সাদা চিনি এবং অন্যান্য সাধারণ কার্বোহাইড্রেট যেমন কেক, পাউরুটি, সাদা ভাত এবং রুটি।
•কিছু প্রদাহ বিরোধী/অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবারের উদাহরণ হল:
১.মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট - অলিভ ওয়েল, চিনাবাদাম তেল, বাদাম, অ্যাভোকাডো ফল।
২. ওমেগা 3 - ক্যানোলা তেল, আখরোট, মাছ।
৩.শাকসবজি আস্ত শস্যদানা যুক্ত ফল বা সবজি।
৪.মশলা এবং চা - গ্রিন টি, আদা, হলুদ, ওরেগানো, দারুচিনি, লবঙ্গ।
•জীবনের বার্ধক্য পর্যায়ে কোমরে ব্যথা প্রতিরোধ করার জন্য যেসব খাবার খাওয়া উচিত:
১.রঙিন ফল ও সবজি:- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন এর রিসার্চ অনুসারে, প্রতিদিন খাবার প্লেটের অর্ধেক শাকসবজি এবং ফল দিয়ে ভরা থাকা উচিত। ফল এবং শাকসবজি সহ একটি রামধনু রঙের খাবার এর প্লেট পরিবেশন করা খুবই ভালো কারণ এতে পলিফেনল এবং বায়োফ্ল্যাভোনয়েড নামক দুটি প্রদাহবিরোধী পদার্থ বিশেষ পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলি শরীরকে রক্ষা করতে এবং প্রদাহজনক প্রক্রিয়াগুলি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
২.বাদাম এবং শস্যদানা :- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অত্যাবশ্যক উৎস হল কাঁচা বাদাম এবং শস্যদানা যেমন বাদাম, আখরোট, চিয়া সিড প্রভৃতি। এই বাদাম নিয়মিত খাওয়া (অর্থাৎ প্রতিদিন অন্তত এক মুঠো) প্রদাহ কমায় এবং আঘাত প্রাপ্ত টিস্যু মেরামত করে। বাদাম দীর্ঘমেয়াদে খেলে তা হাড়কে মজবুত করে, এইভাবে হাঁটু বা কোমরের ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
৩.ফ্যাটি মাছ:- স্যামন, ট্রাউট, টুনা এবং সার্ডিনের মতো ফ্যাটি মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস। তাদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি শরীরের মেট্রিক্সকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের জয়েন্টের ব্যথা কমায়। মাছ হলো ভিটামিন-ডি এর একটি চমৎকার উৎস, একটি এমন একটি অপরিহার্য পুষ্টি যার অভাব হাঁটু এবং কোমরের ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এমনকি আর্থ্রারাইটিসও হতে পারে।
৪. রসালো ফল:- ফল যেগুলি বিশেষ করে রসালো , হাঁটু এবং কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য সুষম আহারের একটি অপরিহার্য অংশ হওয়া উচিত। আপেল, আনারস, বেরি, চেরি, আঙ্গুর এবং সাইট্রাস ফল (লেবু, কমলা) ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমন্বয়ে গঠিত। এই ভেষজ যৌগগুলি হাঁটু এবং কোমরের ব্যথার কারণে সৃষ্ট প্রদাহ কমাতে সর্বাঙ্গীন কাজ করে।
৫.দুগ্ধজাত পণ্য:- দুধকে ক্যালসিয়ামের সর্বোত্তম উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা সহজেই আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের মধ্যে যোগ করা যেতে পারে। শক্তিশালী হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য এবং এইভাবে কোমরের সমস্যা প্রতিরোধ করা যেতেই পারে। কেউ যদি সরাসরি দুধ খেতে পছন্দ না করে তবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণের জন্য সবসময় অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য যেমন পনির বা দইয়ের উপর নির্ভর করা যেতে পারে। ডার্ক চকোলেটও খুব উপকারী কোমরে ব্যাথা প্রতিরোধে।
এছাড়াও নিয়মিত করে ব্যয়াম, শরীরচর্চা, এবং ফিজিওথেরাপি এর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সঠিক Daily Living Activity Chart এবং Correct Posture যদি মেনে চলা যায় তাহলে এই কোমরের ব্যাথা হওয়ার সম্ভবনা নগণ্য। কথাতেই আছে - "It Is Never Too Late To Be What You Might Have Been."
Fit O Fine Physiotherapy Clinic's state-of-the-art facility is equipped with ergonomically designed furniture, adjustable chairs, and properly positioned equipment. They aim to create an environment that supports natural body movements, reduces strain on muscles and joints, and facilitates faster healing. By addressing the ergonomic needs of their patients, Fit O Fine sets a new standard for physiotherapy clinics in Bardhaman, West Bengal.
Comments