Cytokine is the main villian for raised number of deaths in Corona. Awareness can protect you from Cytokine Storm
বাংলা তথা ভারতবর্ষের পূর্ব উপকূলে ২৬ তারিখ আছড়ে পড়ছে সাইক্লোন যশ. আবহাওয়া দপ্তর বাংলা এবং ওডিশার উপকূলবর্তী এলাকাকে ২৩ তারিখ থেকেই সতর্ক করেছে. তেমনি এরকমই একটি সাইক্লোন মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে তা হলো সাইটোকাইন. করোনা আক্রান্ত হয়ে যত মানুষ মারা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই এই ঝড়ের শিকার হচ্ছে.শুধু যে করোনাতেই সাইটোকাইন ঝড় হতে পারে তা নয়, জেনেটিক কারণ, অটোইমিউন ডিসিশ, ইনফেকশন এর জন্যও হতে পারে.
যশ আসছে বাইরে আর সাইটোকাইন ঝড় বইছে শরীরের ভেতরে এবং কেড়ে নিচ্ছে অনেক প্রাণ. তাই সতর্ক থেকে আগেভাগে রোগ নির্ণয় করতে হবে আর ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে. আগাম সতর্কতা সাইটোকাইন ঝড় থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করবে.
কি এই সাইটোকাইন?
সাইটোকাইন হলো প্রোটিন, পেপটাইড আর গ্লাইকোপ্রোটিন যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ নির্গত হয়. শরীরে কোনো ভাইরাস ঢুকলে শরীর তার নিজের ইমিউন সিস্টেম দিয়ে লড়ার চেষ্টা করে তার একটি প্রতিক্রিয়া হলো ইনফ্ল্যামেসন. শরীরে ইনফ্লামেশন হলে সাইটোকাইন ইমিউন কোষ যেমন ম্যাক্রোফেজেস, B লিম্ফোসাইটস, T লিম্ফোসাইটস, মাস্ট কোষ থেকে তৈরী হয়. এই সাইটোকাইন শরীরে যোগাযোগের কাজ করে. এটি ম্যাচুরেশন, গ্রোথ, আর কোষের প্রতিক্রিয়া কে নিয়ন্ত্রণ করে.
কেন সাইটোকাইন থেকে ভয় পাবো?
শরীরে ভাইরাস জনিত ইনফ্লামেশন এর জন্য সাইটোকাইন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ সাধন করার চেষ্টা করে. যেহেতু আমাদের ইমিউন সিস্টেম করোনা ভাইরাস কে চেনে না, তাই এটি শরীরে প্রবেশ করলে এর সঙ্গে লড়ার জন্য প্রচুর ইনফ্লামমেটরী প্রতিক্রিয়া তৈরী হয় যার ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাইটোকাইন তৈরী হতে থাকে. হাইপার ইমিউন প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রচুর পরিমান সাইটোকাইন তৈরী হওয়া কে সাইটোকাইনিন ঝড় বলা হয়. প্রচুর সাইটোকাইন ফুসফুস ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও ক্ষতি করে. সে জন্য এই ঝরে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে.
উপসর্গ
জ্বর, ঠান্ডা লাগা
দুর্বলতা
হাত পা ফুলে যাওয়া
গা গোলা ভাব আর বমি
সারা গায়ে ও মাথায় যন্ত্রনা
নিঃশ্বাসের অসুবিধা
খিঁচুনি ও কাঁপুনি
হাঁটাচলা করতে অসুবিধা
লক্ষণ দেখা দেবার পর Test করালেও Report আসছে অনেক পর, তাই কোনোরকম উপসর্গ দেখা দিলে আমাদের করোনা ধরেই চলতে হবে
এই ঝড় থেকে বাঁচার উপায় কি?
করোনার কোনোরকম উপসর্গ হলে তাকে অবহেলা করা চলবে না, কারণ সাধারণত করোনা তে আক্রান্ত হবার ৬ দিনের মাথা থেকে সাইটোকাইন এর পরিমান শরীরে বাড়তে শুরু করে, তখন বেশ দেরি হয়ে যায়. তাই চেষ্টা করুন তাড়াতাড়ি নিশ্চিত হতে যে আপনি করোনা তে আক্রান্ত কিনা. যদি আপনার করোনা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ESR , CRP , D Dimer পরীক্ষা করান আর তার সাথে সাথে IL-6, IL-8, TNF, IL-1β and IL-33 এই পরীক্ষা গুলো করান. এর মধ্যে IL - 6 অবশই করাতে হবে. IL - 6 অনেকসময় সাধারণ মানুষদেরও বাড়া থাকতে পারে, কিন্তু যদি করোনা রুগীদের এটি বেড়ে থাকে তাহলে সাবধান হতে হবে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে অন্য আরো পরীক্ষা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে. মনে রাখতে হবে সাইটোকাইন শরীরের অনেক অঙ্গের ক্ষতি করে. কিডনি, লিভার, CRP এবং ফেরিটিন এর পরীক্ষাও করতে হবে (রক্ত পরীক্ষা). তবেই বোঝা যাবে সব অঙ্গ প্রতঙ্গ ঠিক আছে কিনা.
সাধারণত ডাক্তাররা এর চিকিৎসা স্টেরয়েড দিয়ে করে থাকেন. তবে ডাক্তার না দেখিয়ে স্টেরয়েড খাবেন না, কারণ সময়ের আগে যদি স্টেরয়েড শুরুকরে হয় সেক্ষেত্রে করোনা চিকিৎসায় অসুবিধা হতে পারে. এ ছাড়াও ডাক্তার এসপিরিন, সাইক্লোস্পোরিন, প্লাজমা থেরাপি ইত্যাদি করে থাকেন. অনেকসময় যদি নির্দিষ্ট সাইটোকাইন চিহ্নিত করা যায় তখন তাকে ব্লক করেও চিকিৎসা করা হয় এবং দ্রুত রোগী ভালো হতে থাকেন.
সাইটোকাইন কার শরীরে কত বেরোবে সেটা আমরা কেও জানি না, তাই উপসর্গ হলেই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে যে ৬ দিন থেকে আপনার শরীরে ঝড় আসতে চলেছে কিনা. তাই কোনো উপসর্গ কে অবহেলা নয়.
পরিশেষে:
সরকার বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা নিচ্ছে যশ থেকে মানুষকে বাঁচাবার আর আপনি সতর্ক থাকুন সাইটোকাইন ঝড় থেকে বাঁচবার জন্য. সবার শরীরে যে সাইটোকাইন ঝড় উঠবে তা নয়, প্রত্যেকের শরীর একভাবে ভাইরাস এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেয় না.
এখন তাড়াতাড়ি করোনা ডিটেক্ট করার জন্য এসেগেছে রেপিড আন্টিজেন টেস্ট কিট. এটি আপনি ঘরে বসে ফ্লিপকার্ট থেকে কিনতে পারেন এবং আগে থেকেই সাবধান হতে পারেন যে আপনি করোনা তে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, সেইমতো সময় থাকতে থাকতে আপনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন.
রেফারেন্সে ফ্লিপকার্ট এর লিঙ্ক এবং ব্যবহার করার YouTube লিঙ্ক দেয়া রইলো (reference link 6 & 7)
References:
This blog written by Dr. Satyen Bhattacharyya also published in জনতার কথা (click the below link)
Thanks for this blog. Cytokine monitor is very important
Very informative. Thank you Sir